নওশিন ইয়াসমিন –
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন কিন্তু সিদ্দিক কে চেনেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মের সাইটগুলোতে ঢুকলেই সিদ্দিকের অনেক ভিডিও চোখের সামনে চলে আসছে। ৫০০ টাকা চুরি করে ধরা পড়েছিলেন তিনি। জনতা ধরে গণধোলাই দেওয়ার সময় তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘’আমার ভুল হয়েছে ক্ষমা করে দ্যান।‘’ তার এই সংলাপ থেকে প্রতিনিয়তই ছোট ছোট নাটক, শর্ট ফিল্ম, টিকটক ভিডিও, রিল ভিডিও বানানো হচ্ছে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুরের সিদ্দিক এখন ইউটিউবারদের কারণে সারা দেশের মানুষের কাছে পরিচিত। জানা গেছে, প্রতিদিন একাধিক ইউটিউবার সিদ্দিকের বাড়িতে যান। তাকে নিয়ে বানায় নতুন নতুন ভিডিও।
মূলত চুরি করতে গিয়ে ধরা পরলে জনগণ সাধারণত চোরদের যে যেভাবে পারে গণধোলাই দেয়। কিন্তু সিদ্দিকের ক্ষেত্রে একেবারেই তেমনটা ঘটেনি। নেটিজেনরা বলছেন, সিদ্দিকের সহজ সরল একান্ত স্বীকারোক্তিতে এমন কিছু ছিল যা তাকে জনগণের মারধর থেকে বাঁচিয়েছে।
সিদ্দিককে নিয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভাইরাল যে ভিডিও সেটি দেখা হয়েছে ৩৩ মিলিয়ন বা তিন কোটি ৩০ লাখ বার। এই ভিডিওতে সিদ্দিক বলছেন, ‘’আমি চুরি করি নাই, আমি গিয়ে বলছি আপা আপনার মামা ৫০০ টাকা চাওছে, দেন। উনি সাথে সাথে দিয়া দিছেন।‘’
টাকা নিয়ে দৌড় দিয়ে জনতার হাতে ধরা খেয়ে সিদ্দিক বলেন, ‘’আমার ভুল হয়েছে, ক্ষমা করে দ্যান।‘’ তার এই সংলাপ দেওয়ার সময় চোখেমুখে এমন সহজ অভিব্যক্তি ছিল, যা দর্শকদের সহজেই আকৃষ্ট করে ফেলে। যার ফলে এই ভিডিও কোটি কোটি মানুষ দেখেছে আর তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অজস্র ভিডিও। এত এত ভিডিও ছবি যার, বাস্তবে কিন্তু একটা মোবাইল ফোন পর্যন্ত নেই সিদ্দিকের। সিদ্দিকের বাড়িতে স্ত্রী ও মা রয়েছে। কোনো সন্তান নেই। কিছুদিন আগেও সিদ্দিক ঘুরে বেড়াতেন এবং একটা চায়ের দোকানে কাজ করতেন। এখন কেউ কেউ ভিডিও করিয়ে হাতে ২০০/৫০০ টাকা গুঁজে দেন,এটাই এখন তার আয়ের পথ।