প্রেম নিয়ে দূরে সরে গেছে
মুখপোড়া কবিতা।
কবিতার নিজস্ব অন্ধকার ছিলো,নির্মল সকাল ছিলো।
কবিতা রোজ আসতো
এই বিজন তল্লাটে,
গোপন বিরহ বয়ে সন্তর্পণে।
এই শহরতলি,
নিঃসঙ্গ ধূলোপথ,হেমন্তের
সোনা ঝরা দিগন্তের সর্বত্র, যত্রতত্র হুটহাট আসাযাওয়া ছিলো কবিতার…
তার ছলছল চোখে
মেকি ঢেউ তুলে খেলতো ছলনারা।বিষাদের আলপনায় কবিতা বুনে যেতো নতুন সম্ভাবনার ফুল।ভালোবাসার পুরাণ খুলে ঈশ্বরের সমুখে বসে শুনশান সম্মোহনে তুলে ধরতো বেওয়ারিশ জীবনের ঢেউ,তুমুল আর্তনাদ অথবা প্রার্থনা।
এভাবেই উজাড় করে দিয়ে
উজান ভাটির দিবসরজনী,
কবিতা বেঁচে ছিলো কবির-
হৃদয় ও কর্নিয়ায়!
অথচ কেমন উন্মাদ করে রেখে
বিবর্ন বসনে ঢেকে দিয়ে সব,
বিমুখ ঈশ্বরের পিছু পিছু
চোখেমুখে জগতের প্রেম নিয়ে…
উধাও হয়ে গেলো মুখপোড়া কবিতা।
কবি নাজমুল ইসলাম সীমান্ত পেশায় একজন শিক্ষক এবং ক্যানভাস পাবলিকেশনের স্বত্বাধিকারী