পৃথিবীতে প্রচলিত ভাষাগুলোর লিখিত রূপকে যদি আমরা মোটা দাগে শ্রেণিবিভাগ করতে চাই তাহলে দেখতে পাবো যে মোটামুটি দুটো ভঙ্গিতে ভাষাগুলোর লিখিতরূপ গড়ে উঠেছে। যথা- বর্ণমালাভিত্তিক এবং চিহ্ন ও অক্ষরভিত্তিক।
বর্ণমালাভিত্তিক লেখ্যরূপগুলোর মধ্যে আবার দেখা যায় যে, কোন কোন লিখিত রূপে স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ সমান গুরুত্বপূর্ণ, কোনটায় শুধুই ব্যঞ্জনবর্ণ আছে কিন্তু স্বরবর্ণ নেই, আবার কোনটায় স্বরবর্ণগুলি স্বাধীনভাবে ব্যবহারের পাশাপাশি ব্যঞ্জনবর্ণের সহকারী হিসেবেও ব্যবহৃত হয় (বাংলা ভাষায় যেমন স্বাধীন স্বরবর্ণও আছে আবার স্বরবর্ণের সাহায্যকারী রূপ ‘কার’ এর ব্যবহারও আছে)। আরো একটা মজার ব্যাপার কিন্তু আছে, তা হচ্ছে একই বর্ণমালা কিংবা চিহ্ন ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা লেখা হচ্ছে। যেমন- ইংরেজি, স্প্যানিশ কিংবা পর্তুগীজ যেটাই লিখতে চাই, বর্ণমালা কিন্তু একটাই, ল্যাটিন!
এই ব্যাপারগুলো বিবেচনায় নিয়ে আমরা সমগ্র পৃথিবীর লেখার পদ্ধতিটাকে যদি এলাকাভিত্তিতে ভাগ করে কিছুটা সরলীকরণ করে ফেলি, তাহলে কেমন হয়? এই কাজটাই করার চেষ্টা করেছি এখানে। একেবারে ব্যাকরণীয় সব সূত্র বা তত্ত্ব যে মেনে চলা হয়েছে তেমন না, কিছুটা নিজের মতো করে খানিকটা সহজ ভঙ্গিতে ব্যাপারগুলো বুঝে নেয়ার চেষ্টা করা, এইতো! তাহলে শুরুতেই বিশ্বের একটা মানচিত্র দেখে নেই। এরপর নাহয় আলোচনা করা যাক।
ল্যাটিন সিরিলিক জর্জীয় গ্রীক আর্মেনীয় আরবি হিব্রু (আবজাদ) উত্তর ভারতীয় দক্ষিণ ভারতীয় ইথিওপীয় কানাডীয় (আবুগিডা) চৈনিক কোরীয় জাপানিজ (চিহ্নভিত্তিক/অক্ষরভিত্তিক)
এবার তাহলে আমরা শ্রেণিবিভাগটাকে আরেকটু বিস্তৃত করে বোঝার চেষ্টা করি। মূল হিসেবে আমরা ধরে নেই চারটা ভাগ বা রীতিকে –
-
বর্ণভিত্তিক – বর্ণগুলো পাশাপাশি বসালেই লেখা তৈরি হয়। যেমন – ইংরেজি।
-
আবজাদ – ব্যঞ্জনবর্ণই মূল ভূমিকা রাখে, স্বরবর্ণের ব্যবহার কম। যেমন – আরবি।
-
আবুগিডা – স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণ উভয়ই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ রূপে গুরুত্বপূর্ণ। যেমন – বাংলা।
-
চিহ্ন এবং অক্ষরভিত্তিক – বর্ণ নয় বরং বিশেষ কোন চিহ্ন দিয়ে পুরো একটা শব্দ হয়ে যায়। যেমন – জাপানী।
ক) বর্ণভিত্তিক – এ জাতীয় লেখার রীতিতে বর্ণ হচ্ছে লেখার একক। স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ দুটোই স্বতন্ত্র, দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ। কারো কোন পরোক্ষ ব্যবহার নেই (বাংলা লেখ্যরীতিতে বর্ণের পরোক্ষ ব্যবহার যেমন কার বা ফলা), বরং বর্ণের পূর্ণ রূপ পাশাপাশি লিখলেই শব্দ তৈরি হয়ে যায়। যেমন – A স্বরবর্ণ এবং B ও T ব্যঞ্জনবর্ণ। বর্ণগুলো পাশাপাশি সাজিয়ে লিখলে হয় BAT, একটা অর্থ প্রকাশকারী শব্দ। এ জাতীয় লেখ্যরীতি অনুসরণ করা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক এলাকায়, এবং সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, নিম্নোক্ত মাত্র কয়েকটা বর্ণমালা দিয়েই সারাবিশ্বের অসংখ্য ভাষা লেখা যায়!
১) লাতিন বর্ণমালা – ইংরেজি, স্প্যানিশ, পর্তুগীজ, তুর্কী, ইতালীয়, স্কটিশ, আইরিশ, ড্যানিশ, ডাচ, নর্ডিক, সুইডিশ, ফিনিশ, ফরাসী, আজেরি, উজবেক, তুর্কমেন, রোমানীয়, কাতালান, আলবেনীয়, হাঙ্গেরীয়, লাটভীয়, লিথুয়ানীয়, এস্তোনীয়, চেক, স্লোভাকীয়, ক্রোয়েশীয়, ওশেনিয়ান, উত্তর আমেরিকান, দক্ষিন আমেরিকান, সাব-সাহারান আফ্রিকা, দক্ষিন আফ্রিকান দেশসমূহ, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালেশিয়া, ফিলিপাইন।
২) সিরিলিক বর্ণমালা – রুশ, ইউক্রেনীয়, রুজিন(Rusyn), যুগোস্লাভীয়, বেলারুশ, মঙ্গোলীয়, বুলগেরীয়, তাতার, কাজাখ, তাজিক, কিরগিস।
৩) আর্মেনীয় বর্ণমালা
৪) গ্রীক বর্ণমালা
৫) জর্জীয় বর্ণমালা
৬) রোমানাইজড – হাঙ্গুল (কোরীয়) ও পিনিয়িন (চৈনিক) ভাষাকে রোমান
বর্ণমালার আদলে লেখা।
খ) আবজাদ – এ ধরণের লেখ্য রীতিতে ব্যঞ্জনবর্ণের প্রাধান্য বেশি। অল্প সংখ্যক স্বতন্ত্র স্বরবর্ণ দেখা যায়, কিংবা দেখা যায় শুধুমাত্র স্বরবর্ণের পরোক্ষ রূপ। ব্যঞ্জনবর্ণের তেমন কোন পরোক্ষ রূপ নেই এ রীতিতে। আবার স্বরবর্ণের পরোক্ষ রূপটা ইচ্ছামাফিক, চাইলে ব্যবহার করা যায়, না চাইলে ব্যবহার করতে হয় না, বা চাইলে একটার স্থলে আরেকটা ব্যবহার করা যায়। যেমনঃ- “شمس” (শমস) – আরবি এই শব্দের বাংলা অর্থ সূর্য। শীন, মীম আর সীন- তিনটি ব্যাঞ্জনবর্ণ পাশাপাশি লিখেই শব্দটা হয়ে গেছে। এখানে কেউ চাইলে উচ্চারণের সুবিধার্থে শামস, শেমাস, শামসু, শামসী এভাবে যে কোনটা লিখতে পারে বা এর জন্য পরোক্ষভাবে আ, ই, উ স্বররূপ চাইলে ব্যবহার করতে পারে, বা ব্যবহার করলেও যেখানে যেভাবে ইচ্ছা করতে পারবে, শুধু শীন, মীম আর সীন বর্ণ তিনটি ঠিক থাকলেই অর্থের কোন পরিবর্তন হবে না।
১) আরবি – মধ্য প্রাচ্যের দেশ সমুহ (তুর্কি ব্যতীত), উইঘুর, উত্তর আফ্রিকা,
পাকিস্তান, আফগানিস্তান।
২) হিব্রু – জিউইস (ইজরাইল)
৩) সিরীয়/ আরামাইক – সিরিয়া
গ) আবুগিডা – এক্ষেত্রে স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ দুটোরই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয় রূপে গুরুত্ব সমান। যেমন – কাক, কাকা, কাকি এই তিনটি শব্দে স্বরবর্ণের এর পরোক্ষ রুপ ‘কার’ আলাদা হবার সাথে সাথে অর্থও বদলে গেছে। আবার দ্যুতি এবং দ্রুতি এই দুটি শব্দে ব্যঞ্জনবর্ণের এর পরোক্ষ রুপ ‘ফলা’ আলাদা হওয়ায় অর্থও আলাদা।
১) উত্তর ভারতীয় – সমগ্র ভারত (কিন্তু দক্ষিণ ভারতীয় দ্রাবিড়রা ব্যতিত), বাংলাদেশ। এসব অঞ্চলের মূল ভাষা বাংলা, ওড়িয়া , হিন্দী, আসামী, মারাঠী, গুজরাটি, বিহারি, রাজস্থানী, পাঞ্জাবী।
২) দক্ষিণ ভারতীয় ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া – দক্ষিণ ভারতীয় দ্রাবিড় (কান্নাদা, তামিল, তেলেগু, মালায়ালী বর্ণমালা), থাইল্যান্ড, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, লাওস, কম্বোডিয়া।
৩) ইথিওপীয়
৪) থানা – মালদ্বীপ
৫) কানাডীয় – কানাডীয় এস্কিমো
ঘ) চিহ্ন এবং অক্ষরভিত্তিক – অনেক লেখ্যরীতিতে অক্ষর বা বর্ণগুচ্ছ হচ্ছে লেখার একক। আবার অনেক ক্ষেত্রে শুধু চিহ্নভিত্তিক একক ব্যবহার করা হয় পুরো একটি নামপদের জন্য। যেমন- ‘水’ এর উচ্চারণ ‘সুই’ যার মানে ‘পানি’। নিচে দেখানো হলো কীভাবে একটি মাত্র চিহ্ন দিয়ে সরাসরি নামপদ ‘হাতি’ প্রকাশ করা হয়েছে, যা চিহ্নভিত্তিক পদ্ধতি থেকে এসেছে।
বার অক্ষরভিত্তিক ব্যবহারও হয় অনেক ক্ষেত্রে। さか এখানে দুটি অক্ষর। একটি “さ” , যার উচ্চারণ “সা”এবং আরেকটি “か”, যার উচ্চারণ “কা”, যারা একত্রে প্রকাশ করে “সাকা”।
১) কানা/ কানজি – জাপানী
২) হানজি – চীনা (মান্দারিন), উইঘুরীয় (টার্কিক), ঝুয়াং (তাই-কাদাই)
৩) হানজা – কোরীয়
এছাড়াও চীনের মান্দারিন ভাষাকে হানজি রীতিতে না লিখে পিনিইন রীতিতে লেখা যায়, এবং কোরিয়ার কোরীয় ভাষাকে হানজা রীতিতে না লিখে হাঙ্গুল রীতিতে লেখা যায়। পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে এই ব্যাপারটাকে রোমানাইজড সিস্টেম বলে, যেহেতু পিনিইন এবং হাঙ্গুল উভয় রীতিই আসলে মান্দারিন ও কোরীয় ভাষাকে রোমান রীতি অনুসরণ করে লেখার জন্য একটি রূপান্তরিত রীতি।
এখন আমরা পুরো আলোচনাটুকুকে শ্রেণিবিভাগ ছকের মাধ্যমে সংক্ষেপে দেখবো। এতে করে সমগ্র চিত্রটা একসাথে আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠবে।
বর্ণভিত্তিক
- লাতিন
- সিরিলিক
- আর্মেনীয়
- গ্রীক
- জর্জীয়
- রোমানাইজড
- হাঙ্গুল
- পিনিয়ি
আবজাদ
- আরবি
- সিরীয়/ আরামাইক
- হিব্রু
চিহ্নভিত্তিক ও অক্ষরভিত্তিক
- কানজি
- হানজা
- হানজি
- উইঘুরীয় টার্কিক
- মান্দারিন
- ঝুয়াং/ তাই-কাদাই
আবুগিডা
-
- উত্তর ভারতীয় (সংস্কৃত ও প্রাকৃত)
- বাংলা
- ওড়িয়া
- হিন্দী
- আসামী
- মারাঠী
- গুজরাটি
- বিহারি
- রাজস্থানী
- পাঞ্জাবী
- দক্ষিণ ভারতীয় ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় (দ্রাবিড়)
- তামিল
- তেলেগু
- মালায়ালাম
- কান্নাদা
- বার্মিজ
- থাই
- কম্বোডীয়/ খেমের
- শ্রীলঙ্কান/ সিনহালা
- মালদ্বীপীয়/ থানা
- কানাডীয়
- ইথিওপীয়
আমাদের মূল কাজ শেষ। আমরা মোটামুটিভাবে সারা পৃথিবীতে প্রচলিত লেখ্যরীতিকে শ্রেণিবিন্যস্ত করে ফেলেছি এরই মধ্যে! সামান্য একটু বাড়তি কাজ করতে চাচ্ছি এ পর্যায়ে এসে। আমরা শুরুর মানচিত্রটাতে দেখেছিলাম যে, পৃথিবীর বেশ বড় অংশেই মানুষ লেখার জন্য লাতিন, সিরিলিক আর আরবি এই তিনটা বর্ণমালা ব্যবহার করে। এ থেকে একটা সহজ সিদ্ধান্তে কিন্তু চলে আসা যায়। তা হচ্ছে, আমরা যদি এই তিনটা বর্ণমালা আয়ত্ত্বে আনতে পারি তাহলে পৃথিবীর বেশীরভাগ অঞ্চলের লিখিত ভাষায় খুব বেশি দক্ষতা না থাকলেও অন্তত দেখেই চিনে ফেলতে পারবো যে তা কোন রীতিতে লেখা! তাই লাতিন, সিরিলিক আর আরবি বর্ণমালা ব্যবহারকারী কারা সেটা আরেকটু বিস্তারিত ভাবে দেখে নেই। এর পাশাপাশি ছোট্ট কিন্তু খুব সুন্দর একটা বাক্য, “Life is beautiful” “জীবন সুন্দর”- এই কথাটা বিভিন্ন ভাষার মানুষ কীভাবে লেখে সেটাও দেখবো।
লাতিন
জার্মানিক
- জার্মান
- ডাচ
- ইংরেজি
- সুইডিশ
- নরস
- ড্যানিশ
- স্কটিশ
স্লাভিক
- ক্রোয়েশীয়
- বসনীয়
- স্লোভেনীয়
- পোলিশ
- চেক
- স্লোভাকীয়
রোমান্স
- ইতালীয়
- কাতালান
- স্প্যানিশ
- পর্তুগীজ
- ফ্রেঞ্চ
- রোমানীয়
হেমেটিক
- সোহেলি
- সোমালি
ইউরালিক
- ফিনিশ
- এস্তোনীয়
- হাঙ্গেরীয়
সেল্টিক
- আইরিশ
- ওয়েলশ
বাল্টিক
- লাটভীয়
- লিথুয়া
টার্কিক
- তুর্কমেন
- তুর্কী
- আজেরী
- উজবেক
ইরানিক
- কুর্দী
এশীয়
- ভিয়েত
এস্ট্রো
- মালয়
- তাগালগ
- ভিসায়ান
- সান্দানিজ
- জাভানিজ
নিগ্রোয়েড
- মধ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকান
মুসলিম
- আলবেনিয়া
জার্মানিক
Das Leben ist wunderschoen – জার্মান
Het leven is mooi – ডাচ
Life is beautiful – ইংরেজি
livet är vackert – সুইডিশ
livet er vakkert – নরস
Livet er smukt – ড্যানিশ
স্লাভিক
život je lijep – ক্রোয়েশীয়
Život je lijep – বসনীয়
življenje je lepo – স্লোভেনীয়
Życie jest piękne – পোলিশ
život je krásný – চেক
život je krásny – স্লোভাকীয়
রোমান্স
la vita è bella – ইতালীয়
La vida és bonica – কাতালান
la vida es bella – স্প্যানিশ
a vida é Bela – পর্তুগীজ
La vie est belle – ফ্রেঞ্চ
viața este frumoasă – রোমানীয়
vita pulchrum est – লাতিন
হেমেটিক (ইংরেজি বর্ণমালা)
maisha ni mazuri – সোহেলি
nolosha waa qurux – সোমালি
ইউরালিক
Elämä on kaunista – ফিনিশ
Elu on ilus – এস্তোনীয়
az élet gyönyörű – হাঙ্গেরীয়
সেল্টিক
tá saol go halaínn – আইরিশ
Mae bywyd yn brydferth – ওয়েলশ
বাল্টিক
dzīve ir skaista – লাটভীয়
Gyvenimas yra gražus – লিথুয়ানীয়
টার্কিক
durmuş owadan – তুর্কমেন
hayat Güzeldir – তুর্কী
Həyat gözəldir – আজেরী
hayot go’zal – উজবেক
ইরানিক
jiyan xweş e – কুর্দি
এশীয়
Cuộc sống thật đẹp – ভিয়েতনামিজ
এস্ট্রো (ইংরেজি বর্ণমালা)
hidup ini indah – মালয়
ang buhay ay maganda – তাগালগ
matahum ang kinabuhi – ভিসায়ান
Ang buhi ay magandaha – ফিলিপিনো
hirup téh Indah – সান্দানিজ (ইন্দোনেশিয়া)
urip ayu – জাভানিজ (ইন্দোনেশিয়া)
hidup itu indah – ইন্দোনেশীয়
নিগ্রোয়েড (ইংরেজি বর্ণমালা)
Die lewe is pragtig – আফ্রিকান
kumnandi ukuphila – জুলু
rai na da kyau – হাউসা (ইথিওপিয়া)
অন্যান্য ভাষা
Jeta eshte e bukur – আলবেনীয়
সিরিলিক
স্লাভিক
- রুশ
- রুজিন
- ইউক্রেনীয়
- বেলারুশীয়
- সার্বীয়
- মেসিডোনীয়
- বুলগেরীয়
- মন্টেনিগ্রীয়
ইরানিক
- তাজিখ
টার্কিক
- তাতার
- কাজাখ
- কিরগিস
মঙ্গোলিক/সিনিক
- মঙ্গোলীয়
ককেশীয়
- আডিগে
- চেচনিয়া
স্লাভিক
жизнь прекрасна – রুশ
життя прекрасне – ইউক্রেনীয়
Жыццё прыгожае – বেলারুশীয়
Живот је диван – সার্বীয়
животот е убав – মেসিডোনীয়
Животът е прекрасен – বুলগেরীয়
ইরানিক
зиндагӣ зебо аст – তাজিক
টার্কিক
тормыш матур – তাতার
әдемі өмір – কাজাখ
жашоо сонун – কিরগিস
সিনিক
амьдрал сайхан – মঙ্গোলীয়
ককেশীয়
әдемі зебо – চেচেন
আরবি
সেমেটিক
- আরবি
- সিরীয়
হেমেটিক
- বারবার
আর্য
- উর্দু
- পাঞ্জাবী
- সিন্ধী
- কাশ্মীরী
দ্রাবিড়
- ব্রাহুই
টার্কিক
- উইঘুরীয়
ইরানিক
- পশতু
- বেলুচ
- ফারসি
চৈনিক
- হুই
সেমেটিক
আরবি – الحياه جميلة
হেমেটিক
বারবার – زندگی زیباست
আর্য
উর্দু – زندگی خوبصورت ہے
সিন্ধি -زندگي خوبصورت آهي
পাঞ্জাবী – زندگی بہت سندر ہے
দ্রাবিড়
ব্রাহুই – زند باز زیباء
টার্কিক
উইঘুর – تۇرمۇش گۈزەل
ইরানিক
ফারসি – زندگی زیباست
পশতু -ژوند ښکلی دی
বেলুচ – زند براھدار انت
চৈনিক
হুই – -ا
পৃথিবীর সিংহভাগ এলাকার সাপেক্ষে প্রধান তিনটা বর্ণমালার চেহারা কেমন তা তো দেখা হলো, বাকী বর্ণমালা বা লিখিত ভাষাগুলো দেখতে কেমন তা যদি একেবারেই না দেখি তাহলে মনে হয় খানিক অপূর্ণতা থেকে যায়, তাই না? এবার তবে সেই একই বাক্য আরো কিছু ভাষায় অনুবাদ করে লিখলে কেমন দেখায় তা দেখে নেই।
কার্টভিলিয়ান হরফে ককেশীয় ভাষা
ცხოვრება მშვენიერია – জর্জীয়
ইন্দো-ইউরোপীয়-ককেশীয় ভাষা
Կյանքը գեղեցիկ է – আরমেনীয়
ইথিওপীয় হরফে সেমিটো-হেমেটিক ভাষা
ሕይወት ደስ ትላለች – আমহারিক (ইথিওপিয়া)
হেলেনিক হরফে গ্রীক ভাষা
η ζωή είναι όμορφη – গ্রীক
চৈনিক হরফের ভাষা
人生は素晴らしい – জাপানিজ
生活是美好的 – চীনা/ হ্যান
চাইনিজ/মান্দারিন
人生是美好的 – ঝুয়াং(চীন)
삶은 아름답다 – কোরীয়
সংস্কৃত হরফে আর্য ভাষা
জীবন সুন্দর – বাংলা
ਜ਼ਿੰਦਗੀ ਬਹੁਤ ਸੁੰਦਰ ਹੈ – গুরুমুখী (ভারতীয় পাঞ্জাব)
જીવન સુંદર છે – গুজরাটি
ଜୀବନ ଅତି ସୁନ୍ଦର – ওড়ীয়া
जीवन सुन्दर छ – নেপালী
आयुष्य सुंदर आहे – মারাঠি
ज़िन्दगी गुलज़ार है – হিন্দি
দ্রাবিড় হরফে ভারতীয় ভাষা
జీవితం అందమైనది – তেলেগু
ಜೀವನ ಸುಂದರವಾಗಿದೆ – কান্নাদা
ജീവിതം സുന്ദരമാണ് – মালায়ালাম
வாழ்க்கை அழகாக இருக்கிறது – তামিল
দ্রাবিড় হরফে আর্য ভাষা
ජීවිතය ලස්සනයි – সিনহালা
দ্রাবিড় হরফে এস্ট্রো-থাই ভাষা
– বার্মিজ
ชีวิตช่างสวยงาม – থাই
ជីវិតគឺស្រស់ស្អាត – খেমের (কম্বোডিয়া)
আনজুম বিন আনাম একজন প্রকৌশলী, গবেষক এবং লেখক।