ছবি: মেট্রোপলিস-
মেট্রোপলিস রিপোর্ট-
এবারের ‘ভুলে ভরা’ ও ‘নিম্নমানের ছাপা’ পাঠ্যবই বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বগুড়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। একই সঙ্গে জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২০ বাতিলসহ শিক্ষা উপকরণের দাম কমানোর দাবি করা হয়।
রোববার বেলা ১১ টার দিকে শহরের সাতমাথা এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের জেলার সভাপতি ধনঞ্জয় বর্মন।
ছাত্র ইউনিয়নের জেলা সংসদের কোষাধ্যক্ষ নাইম ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন, জেলা সংসদের সভাপতি ছাব্বির আহমেদ রাজ, সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ রহমান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নিয়তি সরকার নিতু, জেলা সংগঠক চামেলী আক্তার, রিফাত ইসলাম রাব্বীসহ আরও অনেকে।
বক্তব্যে ধনঞ্জয় বর্মন বলেন, ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২০- এ কিছু ভালো কথার আড়ালে শিক্ষা বৈষম্য, ব্যয় বৃদ্ধি ও রাষ্ট্রের দায়িত্বের প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে কৌশলে শিক্ষা ব্যবসাকে উৎসাহিত ও পৃষ্ঠপোষকতা করা হচ্ছে। একজন শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত সামগ্রিকতায় জ্ঞান লাভ করবে- এমন কথা বলে প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রমে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত একই বিভাগে শিক্ষা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। এতে বিজ্ঞান শিক্ষার পরিসর কমে এক তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর বদলে সেখানে যুক্ত করা হয়েছে ভালো থাকা, জীবন ও জীবিকা এবং পরিবেশ ও জলবায়ু – এ রকম নতুন কিছু বিষয়। ফলে বইয়ের বোঝা বাড়লেও শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য একই ধারার বৈষম্যহীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক, গণমুখী শিক্ষানীতি চালু করতে হবে। এবারের ভুলে ভরা নিম্নমানের ছাপা পাঠ্যবই বাতিল করতে হবে। এছাড়াও খাতা-কলমসহ প্রতিটি শিক্ষা উপকরণের দাম ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিপাকে পড়েছেন। এসবের দামও কমাতে হবে।’
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, এবারের ৯ম-১০ম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বইয়ে উল্লেখ আছে, ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের কাছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে শপথ বাক্য পাঠ করান তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। শুধু একটি ভুলই নয়, এ রকম অনেক ঐতিহাসিক তথ্যগত ভুল, বানান ভুল, যতি চিহ্নের ভুলে ভরা এবারের পাঠ্যপুস্তক।
অনুষ্ঠিত সমাবেশে বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক শিক্ষানীতি চালু করাসহ জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২০ ও ‘ভুলে ভরা’ পাঠ্যবই বাতিলের দাবি জানানো হয়।