রাশিদুল ইসলাম –
ফের খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নগর পিতা হলেন আওয়ামী লীগের (নৌকা প্রতীক) মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। তিনি ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের (হাতপাখা প্রতীক) প্রার্থী মোঃ আব্দুল আউয়াল পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট ।
এছাড়া জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল প্রতীক) শফিকুল ইসলাম মধু পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৪ ভোট, জাকের পার্টির (গোলাপফুল প্রতীক) এস এম শফিকুর রহমান ১৭ হাজার ২১৮ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী (দেয়াল ঘড়ি প্রতীক) এস এম সাব্বির হোসেন পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৬ ভোট।
অপরদিকে সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডে এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
সোমবার রাত ৯টার দিকে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দীন।
এর আগে সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এবারই প্রথম পুরো সিটিতে ইভিএমে (ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট নেয়া হয়। কোনো ধরনের সহিংসতার খবর না পাওয়া গেলেও কিছু কিছু জায়গায় ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন ভোটাররা। প্রায় অনেক কেন্দ্রে ইভিএম ধীরগতিতে কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেন ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দীন বলেন, “নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কোনো কেন্দ্র বন্ধ হয়নি। কোনো কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়নি। প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সকলের সহযোগিতায় নির্বাচন পরিচালনা করেছে। আমরা কথা দিয়েছিলাম – খুলনাবাসীকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিয়েছি।”