নৌকা প্রতীকে বেসরকারিভাবে জয়ী হওয়া মাহমুদ হাসান রিপন।
মেট্রোপলিস রিপোর্ট-
গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন ৭৮ হাজার ২৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯৫০ ভোট।
বুধবার মধ্যরাতে উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
এর আগে, ঐদিন সকাল সাড়ে আটটায় সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ১৪৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত।
এই উপ-নির্বাচনে মাহমুদ হাসান রিপন ও এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জুসহ মোট পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। অন্যদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবার রহমান ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৯৫০ ভোট, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের (কুলা প্রতীক) প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম কুলা প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৭৯৬ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ আপেল প্রতীকে ১ হাজার ৬৪০ ভোট পেয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে নিশাদ গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
নিশাদের অভিযোগ, গত বছরের ১২ অক্টোবর নির্বাচনে অনিয়মের সাথে জড়িত মূল অপরাধীদের চিহ্নিত করেনি নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
ফলে ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন নিশাদ।
প্রসঙ্গত, গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী গত ২৩ জুলাই (বাংলাদেশ সময়) যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে এই নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম দেখা দিলে ভোট বন্ধ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। একাধিক তদন্তের পরে ৪ জানুয়ারি আবারও নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে কমিশন।