back to top
14.9 C
New York
Sunday, October 6, 2024

TMN Shop

spot_imgspot_img

মিতালী হোটেল

আমি কতক্ষণ নিজের মধ্যে হারিয়ে ছিলাম তা বলতে পারবো না। সম্বিত ফিরেই দেখি অনিক মেঝেতে গড়িয়ে গড়িয়ে হাসছে। রাত দুটোয় পেটভরা ইথানল আর মাথাভরা ক্রিস্টাল থাকলে সবই হাস্যকর লাগে। আমি ঘড়ি দেখলাম – প্রায় ৩ ঘণ্টা হয়ে গেছে অনিকের এখানে আসার। মঙ্গলের শেষ লেগুনাটা আর দশ মিনিট পর হোটেলের সামনে দিয়ে যাবে। ওঠা দরকার। কাল ভোরেই আবার কাজে যেতে হবে। অনিকের মত আয়েশ করার সুযোগ তো আমার নেই!

অনিককে বুঝ দিয়ে বের হতে হতে আরো কিছুটা সময় চলে গেল। আমি স্যুট পরে বাইরে এসে বসলাম। দূরে আবছা নীল একটা জ্বলন্ত আলো – মাই লাস্ট রাইড হোম। অনিকের এই হোটেলটা পৃথিবীর জিওস্টেশনারি অরবিটে বসানো। অনেক বছর আগে ওর দাদার দাদা বা অন্য কেউ এটা বানিয়েছিলেন। ওই সময়ে, যখন প্রথম প্রথম পৃথিবী থেকে কন্সট্রাকশন কর্মীরা চাঁদে যেত, এটা ছিল একটা হটস্পট। সবাই এসে থামতো, খেতো, থাকতো। অনেকটা সরাইখানার মত। শুরুতে শুধু বাঙালী খাবার পাওয়া গেলেও পরে ব্যবসার কারনে দাদাজান সব ধরনের খাবারই রাখা শুরু করলেন। জাপানীজ, লেবানীজ, ইতালীয়। ফার্স্ট কন্টাক্টের পর উনি চেষ্টা করেছিলেন তখনকার সো কল্ড “এলিয়েন” দের খাবারও রাখতে। কিন্তু সেটা ঠিক করতে পারেন নাই। বাবুর্চি কই পাবেন এলিয়েনদের খাবার রান্না করার জন্য? আর সেই রান্নার অদ্ভুত কাঁচামালই বা তখন কোথায় পাবেন রেগুলার বেসিসে? স্পেস ট্রাভেলিং তখনো এত সহজ আর দ্রুত হয় নাই, আলফা সেঞ্চুরিতে ডিএইচএল কোন শাখা খুলে নাই!

 তবে দাদার স্বপ্ন ছিল একদিন তার বংশধররা তা করবে। কিন্তু ব্যাপারটা আর ওরকম হয় নাই আসলে। কেউ আর এখন মাসের পর মাস ধরে চাঁদে যায় না, জাস্ট ডাইভ দেয়। তাই এই মিতালি হোটেলের মত অজস্র অর্বিটাল হোটেলের ব্যাবসা লাটে উঠলো কয়েক দশক পর। খুব কম হোটেলই তখন অপারেশনাল ছিল। অনিকের বাবা তখন চার্জে। এই হোটেলটা ছাড়া বেচারাদের আর কোথাও কোন ঘরবাড়ি ছিল না। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই অরবিটে থেকে যাওয়া। এর কিছুদিন পর যখন স্পেস ট্যুরিজম বুম করলো – দেখা গেল পৃথিবীর জিও স্টেশনারি অরবিটে হোটেল শুধু একটাই। লো আর্থে বেশ কিছু হোটেল ছিল তখনো – মোস্টলি স্পেস স্টেশনের কারনে। কিন্তু যারা আসলেই পৃথিবী, সভ্যতা  থেকে একটা ব্রেক চায়, সবকিছু থেকে দূরে, নির্জনে নিভৃতে ক’টা দিন কাটাতে চায়, তাদের সবার পছন্দ ছিল এই মিতালি হোটেল। এখন, আমাদের এই জেনারেশনে ওরকম মনোপোলির সুযোগ নেই। তবে দিন ভালই চলে যায়। রেসিডেন্ট ছাড়াও শুধু খাওয়ার জন্য, আড্ডা দেয়ার জন্য অনেক লোক আসে। যেমনটা আমি এসেছিলাম এরকম একটা লেগুনায় করে প্রথম মঙ্গলে যাওয়ার দিন। 


আমার রাইড চলে এসেছে। মিতালি অনেক পুরোনো হওয়ায় এখানে একটা স্টপেজ আছে। ইন্টারগ্যালাক্টিক আইন অনুসারে ডাইভ থেকে শিপগুলোকে বের হতে হয় বেশ কিছুদুর আগে। এরপর সেই ওল্ড স্কুল স্টাইলে হেলে দুলে আয়ন থ্রাস্টারের নীল আলো ছড়িয়ে লেগুনাগুলো এসে দাঁড়ায় হোটেলের ঠিক সামনে। এরপর আরো কিছুদুর এভাবে গিয়ে আবার ডাইভ দেয়।

“হোল্ডেন, জেজিরো, কলোম্বিয়া… আরে, মঙ্গল মঙ্গল… “

“ভাই, নিলি যাবে না?” 

“না ভাই। তবে আপনি পুরাতন স্পেস স্টেশনে নামলে নিলির শাটল পাবেন”

আমি উঠে পড়লাম। হেলমেট খুলে জানালার পাশের একটা সীটে গিয়ে বসলাম। 

“ওস্তাদ, টানেন… “

ওস্তাদ টানলেন।

আমি জানালায় মাথা গুঁজে দূরে তাকিয়ে থাকলাম, যতদূর চোখ যায় জাস্ট শুন্যতা! আর তার মাঝে গুটি গুটি রঙিন তারা!  ইশ, যদি এখন ধরাতে পারতাম!  লোভমিশ্রিত একটা নির্ভরতা নিয়ে আমি পকেটের উপর হাত রাখলাম। দুই কিউব ক্রিস্টাল – অনিকের সেকেন্ডারি বিজনেস। এখানে এখন আমার আসাই হয় আসলে এই ক্রিস্টালের জন্য। আশপাশে তিন গ্যালাক্সির মধ্যে শুধু হুচি গ্রহে পাওয়া যায় এই জিনিস। এক্সোপ্ল্যানেটগুলোতে উদ্ভব হওয়া বায়োলজি আমাদের থেকে একেবারেই আলাদা। তাই ওদের সব ড্রাগ আমাদের সাথে যায় না। আবার একই সাথে ওদের অনেক অ-ড্রাগও আমাদের জন্য পিনিকের। যেমন এই ক্রিস্টাল। এর আসল নাম মানুষের ভোকাল কর্ড দিয়ে উচ্চারন করা যায় না। হুচিয়ানদের পেট ব্যাথার ট্যাবলেট, আর আমাদের জন্য স্বর্গ। হিউম্যানদের জন্য এটা হাইলি কন্ট্রোল্ড সাবস্ট্যান্স। কিন্তু যে জিনিস এক জাতির জন্য ঔষধ, তাকে এরকম একটা মাল্টিকালচারাল সমাজে কিভাবে পুরোপুরি ব্যান করা সম্ভব? আর তাই আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে ঠিকই ম্যানেজ করে ফেলা যায়। অনিকের জন্য ব্যাপারটা আরো সহজ – হোটেলে তো ইমারজেন্সী হতেই পারে। তাই ফার্স্ট এইড হিসেবে সে লিগ্যালি কিনে আনতে পারে এগুলো হুচি থেকে। 

” বু…….ম!”

আ-

“ফুশশি…ইইইত!”

“মঙ্গল পুরানা স্টেশন, পুরানা স্টেশন, যারা নামবেন, নাইমা যান… এই ভাই, এইখানে নিলির শাটল পাবেন”

লেগুনা স্টেশনে ডক করছে। আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। মঙ্গলের সেই আগের শৌর্য আজ আর নেই। এখন এটা মোস্টলি একটা শ্রমিক কলোনী। তাই সবকিছুই একটু নোংরা নোংরা। অনেকটা ঢাকার মিরপুরের মত, টোকিওর শিন-ওকুবোর মত। 

“অন্তত পৃথিবীর থেকে তো ভাল?” পাশের রো’তে বসা এক গ্রিয়ান আমার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ দিল। গ্রিয়ানদের ব্রেন এক্সটার্নাল ওয়েভের প্রতি খুবই সেন্সেটিভ। মানুষের পাশে থাকলে আমাদের ব্রেনওয়েভ পর্যন্ত ওরা ডিটেক্ট করতে পারে। তাই লিটারেলি মনের কথা বুঝে যায়। খুবই ভয়ানক একটা ব্যাপার। ইন্টারগ্যালাক্টিক পুলিশ ফোর্স প্রার পুরোটাই গ্রিয়ানরা চালায়। 

আমি ভয় পেলাম। আমার পকেটে ইলিগ্যাল জিনিস। কিন্তু সেটা ভাবলেও সে জেনে যাবে। চিন্তা সরানোর জন্য আমি টপিক খুঁজতে থাকলাম-

আচ্ছা, গ্রিয়ানরা যেহেতু মনের সব চিন্তা বুঝে যায়, এরা কি পার্টনার হিসেবে অসাধারন হবে না? নাকি টেরিবল হবে? একজন মানুষ আমাকে পুরোপুরি রিড করতে পারছে, এটা তো ভয়ানক ব্যাপার। তবে শুধু সেক্স পার্টনার হলে বোধহয় আলাদা। আমি গ্রিয়ানের সাথে মানুষের সেক্স কেমন হতে পারে তা নিয়ে ভাবতে থাকলাম। 

এটা একটা স্ট্র্যাটেজি, গ্রিয়ানদের থেকে নিজের চিন্তা লুকানোর। বায়োলজিকাল আর্জ অনেক শক্তিশালি, অন্য সব চিন্তাকে দমিয়ে দিতে পারে। তাই জাস্ট একটু হর্নি হলেই হল, অন্য সব চিন্তা ঝাপসা হয়ে যায়।

লেগুনাটা চলে গেল। আমি তাড়াতাড়ি করে হাঁটছি – গ্রিয়ানটাকে লুজ করা দরকার। 

“এই সিয়াম, শুনো”

 আমি মুহূর্তে ফ্রীজ হয়ে গেলাম। 

 “আমরা যদি চাই, সেরা পার্টনার হতে পারি, আর চাইলে ওর্স্টটাও। তোমার সব চিন্তা, চাওয়া যখন কেউ বুঝে যায়, সে তখন চাইলে তোমার সব আশা পূরণও করতে পারে, আবার চাইলে সব লন্ডভন্ডও করে দিতে পারে। ডিপেন্ড করছে আমি তোমার থেকে কি চাই, আর তুমি আমার কাছে কতটা ট্রান্সপারেন্ট তার উপর।”

“হিহি। হুম। আসলেই” আমি শুকনো করে হাসলাম।

“দেখতে চাও না গ্রিয়ানরা পার্টনার হিসেবে কেমন?”

এটা কিসের ট্র্যাপ আল্লাহ জানে। নাকি হুকার?

“আহ, আই উইশ পারতাম। কিন্তু আমি আসলে এংগেজড।”

“একরাতের জন্য তো দেখতেই পারো”

আমি আমতা আমতা করছি

“অন্য গ্রহের পেটের ঔষধ পর্যন্ত ট্রাই করে দেখছো, আর এটা করতে ভয় পাও?”

ভয়ে আমার পুরো শরীর ঠান্ডা হয়ে গেল। ফাক! ফাক! ফাক! শিওর এ পুলিশ। আজকে আমি শেষ! 

গ্রিয়ানটা কাছে এসে তার একটা শুঁড় দিয়ে আমার গালে খেলা করতে থাকলো- “ভয় নেই, আমি অন্য একটা কাজে এসেছি। এসব ট্যাবলেট-বড়ি আমার জন্য খুবই ছোট ইস্যু।” তারপর ফিসফিস করে বললো- “তাছাড়া হুচিয়ান ঔষধ আমারও অনেক প্রিয়”।

 এরপর আমার আসলে আর কিছুই বলার বা করার ছিল না। এইদার ওয়ে, আমাকে ওর কথা শুনতেই হবে।

 “এইত্তো, লক্ষী ছেলের মত চিন্তা। চল, আমার কাছে বাই ভার্বাল আছে। ফরগেট দ্যা শাটল”

আমি ক্রিস্টাল গুড়ো করে বঙ সাজাচ্ছি। গ্রিয়ান ওয়াশরুমে। সব পরিষ্কার আছে তো? হাজার হোক, অপরিচিত একজন আমার বাসায় এসেছে। এই জিনিসগুলো খুব মান সম্মানে লাগে।

“কি বাল গ্রিয়ান গ্রিয়ান করছো? এতক্ষণে নামটাও জিজ্ঞেস কর নাই আমার।”

“আহ, সরি। কি নাম তোমার?”

“তাহিতি”

“আরেহ! এ তো মানুষের নামের মত! আমার এক স্কুল ফ্রেন্ড ছিল এই নামের।”

“আইনাসের লং টাইম পার্টনার ছিল যে?”

“অ্যাহ! তুমি চেন ওদেরকে?”

পরমুহুর্তেই নিজেকে বোকচোদ মনে হল – ” ওহ, ইউ আর জাস্ট রিডিং মাই মাইন্ড” 

“হাহাহা।”

এবার আমিও হাসলাম। গ্রিয়ানটা আসলে মজার আছে!

তাহিতি আমার পাশে এসে বসলো। ওর একটা শুঁড় চলে গেল আমার দু’পায়ের মাঝে।  

“আহ! দেখো, আমি না, এর আগে কখনো কোনো গ্রিয়ানের সাথে থাকিনি। আমি ঠিক জানি না কিভাবে”

সে তার বাকি চারটা শুঁড় দিয়ে আমার হাত-পা পেঁচিয়ে ধরলো এবার। “আমার উপর ছেড়ে দাও সোনা” 

আমরা চুমু খেলাম… উম্মম্মম… ওহ! এ তো…

আমি আমার চিন্তা আর ধরে রাখতে পারি না। খেই হারিয়ে ফেলি এক আদিম তীব্র মোহে!  

[জীবনের শ্রেষ্ঠ কয়েকটা মিনিট কাটানোর পর ]

কি ছিল এটা! আমি এখনো ব্যাপারটা থেকে বের হতে পারছি না। এতটা সুখও সম্ভব? এতটা তৃপ্তিও লাগে মানুষের? আনন্দ, তৃপ্তি, উত্তেজনা – সবগুলো শব্দ যেন আজকে আমার অভিধানে রি-ডিফাইন্ড হল। বজ্রাহতের মত বসে থাকলাম আমি বিছানার কোণায়। তাহিতি তার মুখ দিয়ে একরাশ ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বঙটা আমার কাছে পাস করলো। 

আমি বুক ভরে টেনে নিলাম নীলচে সেই ধোঁয়া।

সারা শরীর শিরশির করে উঠলো আমার। আহ…  কি তীব্র সুখ! কি আরাম সারা শরীরে!  আর বসে থাকতে পারলাম না আমি। শুয়ে পড়লাম। চোখ আধবোজা হয়ে গেল আমার। তা দিয়ে আবছা করে আমি দেখতে পাচ্ছিলাম তাহিতির অবয়ব। সে মেঝেতে দাঁড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে – সবগুলো শুঁড় উঁচু করে। দেখে প্রাচীন কোন এক ধর্মের দেবীর কথা মনে পড়লো আমার। 

যে কিনা আমাকে এই দিব্যের সন্ধান দিল, সে তো দেবীই আসলে! আমি আবিষ্কার করলাম – এই মুহুর্তে মরে গেলেও আমার আর কোন দুঃখ নেই।  

“ঠিক এই মুহুর্তটাই আমি চেয়েছিলাম”

“হু…..ম…?” আমার কথা বলারও আর কোন শক্তি নেই। জাস্ট তাকিয়ে থাকলাম তার দিকে।

“পৃথিবীতে অনেক স্ট্রাগল, তাই না সিয়াম? তার তুলনায় ভাল সময় কিন্তু অনেক কম। তোমার মত শ্রমিকের জন্য জীবন আরো কঠিন। গ্রহ থেকে গ্রহে লাফিয়ে সবথেকে বিপজ্জনক আর কষ্টের, কাজগুলো করে যাচ্ছ দিনের পর দিন – নিতান্তই পেটে-ভাতে থাকার জন্য। আমার খুব মায়া লাগে জানো, যখন তোমাদেরকে দেখি। ইচ্ছা করে কিছু একটা করি তোমাদের জন্য। একটু কমাই কষ্টটা। আজকে যেটা হল সেটা আমার পুরোনো অভ্যাস। অ্যান্ড আই ডু ইট ফর ইউ গাইজ, নট ফর মি। জীবনে আর কতবার এরকম সুখ পেয়েছো তুমি? আর এর পরই বা কতবার পাবে?” 

 আমি অস্ফুটস্বরে তাকে ধন্যবাদ দিলাম।

“ইউ আর ওয়েলকাম। কিন্তু সমস্যা কি জানো? এরপর আর কোনদিন তুমি কারো সাথে শুয়ে তৃপ্ত হবে না। আজীবন হাঁতড়ে বেড়াবে আজ রাতের স্মৃতি। এটা তোমাকে আরো অসুখী করে তুলবে। আর আমি তোমার সাথে এটা করতে পারি না … ” তাহিতি একটু থামলো।

“অথচ এই মুহুর্তে তুমি এ গ্রহের সবথেকে সুখী জীবনগুলোর একটি। তুমি জীবনের প্রতি তৃপ্ত, মৃত্যুর জন্য সানন্দে প্রস্তুত। মৃত্যুর এর থেকে পার্ফেক্ট মুহুর্ত আর আসবে না তোমার জীবনে।”   

তাহিতির কথার কোন অর্থ আমি বুঝতে পারলাম না। শুধু বুঁদ হয়ে থাকলাম তার অপার্থিব মায়াবী কন্ঠ্যের মাঝে। তার একটা শুঁড় একটু নিচে নেমে আবার উঠে এলো একদম আমার মুখের কাছে। আমি আবছা টের পেলাম তাতে কিছু একটা ধরা। কি হচ্ছে কিছুই বুঝছি না আমি। সবকিছু মনে হচ্ছে ভেসে আসছে অনেক দুরেএএএএর কোন একটা গ্যালাক্সি থেকে। হোক, যা হয়, হোক। আমি নিজের সবগুলো ডানা মেলে দিলাম। আর সাথে সাথে কপালে কিসের যেন একটা ধাক্কা! কপালের ব্যাথাটা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। হতে হতে একসময় হুট করে থেমে গেল সবকিছু।

সব শেষ। এখন শুধু শুণ্যতা! বিশাল এক শুণ্যতা – এই মহাবিশ্বের মত!

আহ … কি সুখ…


গল্পকার শাদমান সাকিব সিয়াম মহাকাশ গবেষক হিসেবে জাপানের ইন্সটিটিউট ফর কিউশু পাইওনিয়ার অফ স্পেসে কর্মরত আছেন

MD IMRAN HOSSAIN
MD IMRAN HOSSAINhttps://themetropolisnews.com/
Md. Imran Hossain, a certified SEO Fundamental, Google Analytics, and Google Ads Specialist from Bangladesh, has over five years of experience in WordPress website design, SEO, social media marketing, content creation, and YouTube SEO, with a YouTube channel with 20K subscribers.

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

3,800FansLike
300FollowersFollow
250SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles